আরিফ মঈন উদ্দিন পেশায় একজন এমবিবিএস ডাক্তার। সে চট্টগ্রামের স্বনামধন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ইউএসটিসি হতে ২২তম ব্যাচে এমবিবিএস পাশ করে।বর্তমানে চট্টগ্রামের বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে কর্মরত।
ডাক্তারি পেশার পাশাপাশি সে নিয়মিত ইয়াবা সেবন করত এবং একপর্যায়ে নিজেই ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে।
প্রথমদিকে আরিফ মঈন উদ্দিন চট্টগ্রামের খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের ইয়াবা সরাবরাহ করে এবং পরবর্তীতে প্রতি মাসে ৫ থেকে ৬ বার চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবা নিয়ে এসে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ ও বিক্রয় করতে শুরু করে।ডাক্তারি পেশার আড়ালে আর্থিকভাবে দ্রুত লাভবান হওয়ার জন্য সে অত্যন্ত কৌশলে মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তোলে।
তার এই অবৈধ মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেটের সাথে একাধিক নারী ও পুরুষ সহযোগী হিসেবে জড়িত আছে মর্মে জানা যায়
এরই প্রেক্ষিতে জুলি আক্তার রুপা নামক এক নারীর সাথে তার পরিচয় হয় এবং গ্রেফতারকৃত আরিফ মঈন উদ্দিন তাকে নিয়ে চট্টগ্রামের খুলশী এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে একত্রে বসবাস করার পাশাপাশি মাদকদ্রব্য ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।
১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব-১১’র কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী (পিপিএম) স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব জানায়, ১৫ অক্টোবর উক্ত মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম হতে ভাড়াকৃত প্রাইভেটকারযোগে ঢাকায় ইয়াবা নিয়ে আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল রাত সাড়ে ৩টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাং রোডস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করে।
চেকপোস্টে গাড়ী থামিয়ে তল্লাশিকালে চট্টগ্রাম হতে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকার থেকে ৭,৮৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ ইয়াবা পাচারের দায়ে মাদক ব্যবসায়ী আরিফ মঈন উদ্দিন (৩০) ও তার সহযোগী জুলি আক্তার রুপা (২৮)’কে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ডাক্তারি পেশার আড়ালে আর্থিকভাবে দ্রুত লাভবান হওয়ার জন্য সহযোগী আসামির পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা পাচার করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।